দক্ষিন রাঢ়ী বসু বংশের প্রতিষ্ঠাতা দশরথ বসুর
সুখের সংসারের ঈশান কোনে সিঁদুরে মেঘ ঘনিয়ে এলো যখন বিষম ঝগড়া লাগলো তাঁর দুই ছেলে
কৃষ্ণ আর পরমের। কায়স্থরা শ্রেণী হিসেবে মুলত তথ্য রক্ষক ও তথাকথিত চিত্রগুপ্তের বংশধর
হলেও মূল শেকড় সেই ক্ষত্রিয়,
আর বসুদের গোত্রও সেই রাগি মুনি গৌতমের, তাই বীর
রসের বাড়বাড়ন্ত, ঝগড়া বাড়তেই লাগলো, শেষে পরম রাগ করে চলে গেলেন পূর্ববঙ্গে, সেখানের
জমিদারির ভাগ নিয়ে, সে জায়গার নাম ময়মনসিংহ, সেখানেই ঘর সংসার পেতে বসলেন। কৃষ্ণ রয়ে গেলেন
নদিয়াতেই, খানাকুলের কাছে, সেখানেই তাঁর বংশবৃদ্ধি হতে লাগলো। প্রায়
ছয় পুরুষ পরের কথা, ত্রয়োদশ শতাব্ধীর কোনো এক সময়ে, বংশের ছোট
ছেলে মুক্তিনাথ বাড়ী ছেড়ে পাড়ি দিলেন ভাগ্যান্বেষণে, সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। মালঞ্চ গ্রামের কাছে
পত্তন করলেন তাঁর বসত।
ভাগীরথী তখন বইতো অন্য পথে, সে পথের
ধারে যেমন ভালো চাষবাস, তেমনি ভালো বাণিজ্য, তাই মুক্তির পরিবার খুব অল্প সময়েই বিত্ত্বশালী
হয়ে উঠল। পৌত্র মহীপতি নাম কিনলেন তাঁর মেধা আর সুবুদ্ধির জন্যে, গৌড়ের সুলতান
মহীপতির উপাধিকরন করলেন, নাম দিলেন সুবুদ্ধি খাঁ। মস্ত জাগীর দিলেন দানে, মহীপতির
বসতের পাশেই, সেই জাগীরের নাম হল সুবুদ্ধিপুর। বংশ বৃদ্ধির ব্যাপারেও কারপন্য
করেন নি মহীপতি, দশটি পুত্র ছিল তাঁর। এরই মধ্যে চতুর্থ পুত্র, যিনি উপাধি
পেয়েছিলেন ঈশান খাঁ, হলেন পিতার যোগ্য উত্তরসূরি, তিনিও স্থান পেলেন সুলতানের দরবারে তাঁর মেধার
জন্যে। তাঁর তিন পুত্র, তিনজনেই নিজগুণে যশস্বী, কিন্তু তার মাঝে মধ্যম জন, গোপীনাথ, সব্বাইকে
ছাড়িয়ে গেলেন। তাঁর প্রভূত মেধা ও ক্ষত্রিয় রক্ত একাকার হয়ে গেল, সুলতান হুসেন
শাহ্র দরবারে তিনি নৌসেনাপতির পদে স্থলাভিষিক্ত হলেন, উপাধি পেলেন পুরন্দর খাঁ। গৌড়
থেকে সুন্দরবন অবধি চলতে লাগলো তাঁর মান্দার বোট, বর্মি হানা বন্ধ হল সম্পূর্ণ ভাবে। পুরন্দর
বীর তো ছিলেনই, সামাজিক সংস্কারের কাজেও মন দিলেন তিনি, বল্লালি
প্রথা ভেঙ্গে কুলিন-মৌলিক বিবাহ চালু করলেন দেশজ ডারউইনের ধারায়, ঠগি আর বর্গি
রোখার নানারকম বন্দোবস্ত করলেন,
রাস্তা ঘাট তৈরিতে খরচা করলেন প্রভুত অর্থ, এক মাইল
লম্বা দিঘি কাটালেন, নাম খানপুকুর।
কালের খেয়ালে ভাগীরথী পরিবর্তন করলো পথ, কলকাতার
আদি গঙ্গার একটুখানি রয়ে গেলো ক্ষীণকায়া হয়ে, যেটুকু টলি সাহেবের নালার সাথে জোড়া ছিল, মূল নদীস্রোত
চলে গেলো অনেক পশ্চিমে। বদ্ধ জলে মহীনগরে দেখা দিল মহামারী, বসু পরিবার
গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হলেন, নতুন বসত তৈরি হল সাত কোদালিয়া তে। ততদিনে গোরারা বসত করেছে
কলকাতায়, এক ভাই চলে এলেন উত্তর কলকাতায়, বাগবাজারের
কাছে, একজন বসত করলেন ভবানীপুর গ্রামে, আরেক ভাই
কলকাতাতে থাকলেও তাঁর মন বেরিয়ে পড়লো সুখের খোঁজে, অন্য কোথাও, অন্য কোনখানে।
এই ভাই, রামরাম বসু,
বংশের প্রথা মেনে মুন্সীর কাজ নিলেন গোরাদের কাছে, ফারসী আর
ইংরেজিটা শিখে নিয়েছিলেন, সেটা কাজে দিল। উইলিয়াম কেরির সান্নিধ্যে রমরমা বাড়ল তাঁর, জমিদারির
পত্তন হল শীলাবতীর ধারে, আরাবাড়ির জঙ্গল কেটে, সে গ্রামের নাম নোহারি।
বুবাই হিষ্ট্রি একদমই ভালবাসে না। আমিও যে
বাসি, তা মোটেই নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে যখন মনে অনেক প্রশ্ন আসে অনেক
কিছু নিয়ে, বিশেষ করে আমাদের পরিবারের কিছু লোকের কিছু অদ্ভুত এক্টিভিটি
নিয়ে, ইতিহাসের কাছেই তার অনেকগুলোর উত্তর পেয়েছি আমি। তাই একটু একটু
ইতিহাস ঘাঁটার শখ কখনো কখনো হয় বইকি। অবশ্যই অসীমকাকুর মতো নয়, যে কিনা
ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে বিয়েই করল না,
কিন্তু ওই অসীমকাকুর রিসার্চ থেকেই এর অনেক তথ্য পেয়েছি, সে কথা অস্বীকার
করবো না।
নোহারীতে বসতবাড়ী তৈরি হল শীলাবতীর থেকে প্রায়
এক যোজন দুরে, মুল নোহারী গ্রাম থেকে একটু পূর্বে, একটি ছোট্ট
টিলার ওপরে। চাষের জমিতে জল আনার জন্য খোঁড়ানো হল মস্ত খাল, পূর্বপুরুষের
নামে তার নাম রাখা হল পুরন্দর খাল। বাড়ির পাশেই তৈরি হল বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির ঘরানার
আদলে শিব মন্দির ও সূর্য মন্দির। কৃষ্ণের দোল খেলার জন্য তৈরি হল দোল মন্দির, তাতে দোল
খেলা হতো দোলপূর্ণিমার পরের পঞ্চমীতে। দামোদর এলেন ঘরে, তিনিই হয়ে
গেলেন বসুদের কূলদেবতা, নতুন মন্দির তৈরি হল তাঁর জন্যে। অবশেষে, আজ থেকে
প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে, তৈরি হল আমাদের প্রথম দুর্গা মন্দির। তিন দরজা দেওয়া সে মন্দির
চারচালা, ভেতরে মূর্তি থাকতো কিনা জানা যায়না, শুনেছি তখন
পুজো হতো ঘটে। দামোদরের সন্ধ্যারতির মুড়ি বাতাসা, দুর্গাবাড়ীর ঢাক বাদ্যি, বাবুদের
খাজাঞ্চী খানার হই হট্টগোল, সব মিলিয়ে এই জায়গাটাই হয়ে উঠলো একটা তিরিশ মাইল ব্যাসের বৃত্তের
নার্ভ সেন্টার। নাম হয়ে গেলো বড় নোহারী, মূল নোহারী ততদিনে ছোট নোহারী বলেই সবাই ডাকছে।
প্রকৃতির নিয়মে ধীরে ধীরে শীলাবতী এগিয়ে এলো
বসুবাড়ির দিকে, তাই সাঁওতাল পরগনার দলমাতে বৃষ্টি মানেও বসুবাড়ি থই থই, এমনই হতে
লাগলো বার বার। উপায়ন্তর না দেখে বাড়ির কর্তারা ঠিক করলেন আবার বসত পাল্টাতে হবে। আরো
কিলোমিটার খানেক ভেতরে আবার একটা উঁচু জায়গা দেখে তৈরি হল নতুন বসত। এও প্রায় দুশোকুড়ি
বছর আগের কথা। দামোদর এর প্রতিপত্তি ততদিনে প্রতিষ্ঠিত, তাই তাঁর
জন্যে তৈরি হল মস্ত মন্দির, এবারে আর চারচালা নয়, পঞ্চরত্ন, দক্ষিন মুখি, মূল কারুকাজ
করা চুড়ার চার পাশে আরো চারটি ছোট চুড়া, তাতেও কারুকাজ কম নয়। দুই দিক খোলা সেই মন্দিরের, সামনের দিকে
দুইখানা কারুকাজ করা পিলার, তার দুই পাশে ছোট আর্চ দেওয়া প্রবেশপথ, মাঝে মূল
প্রবেশপথ, সেটাও আর্চ দেওয়া, কিন্তু অন্য দুটোর থেকে একটু উঁচু। একপর একফালি
বারান্দা, ফুট দুয়েক চওড়া, তারপর মেন অ্যাট্রিয়াম, ওপরে আর্চড
সিলিং, সেখানে কাঠের সিঙ্ঘাসনে আসীন দামোদর রূপী গনেশ। সেই অ্যাট্রিয়ামে
ডান দিকের দরজা দিয়েও ঢোকা যায়। দামোদর মন্দিরের বাঁ দিকে তৈরি হল মস্ত দুর্গামন্দির, এক দেওয়াল
তার দামোদর মন্দিরের লাগোয়া,
কিন্তু দুর্গামন্দির ফুট পনেরো এগিয়ে। দুর্গামন্দিরের শুরু বরাবর
উঁচু পাঁচিল দেওয়া হল দামোদর মন্দির কে ভেতরে রেখে, মাঝে দরজা ঘর, তার ছাদে
নহবৎ বসার ব্যাবস্থা। দামোদর মন্দিরের পেছনে বসতবাড়ী। দুর্গামন্দির তৈরি হল তখনকার
কলকাতার দালানবাড়ীর আদলে, আধা মুসলিম আধা ইউরোপীয় ঘরানায়, তার কথা
আগেই বলেছি। সেখানেই মস্ত কাঠামো তৈরি করা হল শালকাঠের, তাতে মূর্তি
গড়া হল লোক এনে, মূর্তি পুজোর সেই চল এখনো চলছে। আর বাড়ীর কাছে জলের জন্য নতুন
খাল কাটানো হল, তার নাম নরু খাল। পুকুর কাটানো হল নতুন করে, প্রথমে গুহদের
নামে, ক্রমে তার নাম গোপুকুর হয়ে গেলো, পাশেই কাটানো
হল পুন্য পুকুর, আবার সবার পরে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে কাটানো হল নতুনপুকুর।
ব্রাহ্মণরা তো ছিলেনই, গ্রামে এসে এবার বসত করলেন রায়রা, দত্তরাও
এলেন বিয়ের সুবাদে, পুকুর কাটালেন দত্তপুকুর নামে, সে পুকুরে
আজও গ্রামের সব দুর্গাঠাকুর বিসর্জন হয়, এলেন সেনরা। চামড়ার কাজ অনেক, এলো রুইদাসরা।
আর কত লোক এসে বাস করা শুরু করলো এখানে, তার হিসেব রাখেনা কেউ, আর এত লোকের
মাঝে এই দুর্গাপুজোই এলাকার মূল উৎসবকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ালো। জমিদারি একটাই, পুজো একটাই।
তাই সবাই এখানেই জমায়েত হতে লাগলো পুজোর সময়।
তিন চার পুরুষ পরের কথা, বসুদের ক্ষত্রিয়
রক্ত আবার গরম হল, এবারে ঝগড়া লাগলো ছোট আর বড় তরফে। ছোট তরফ আলাদা হয়ে গেলেন।
দামোদর একই রইলেন, কিন্তু দুর্গা ভাগ হয়ে গেলেন, ছোট তরফ নতুন মন্দির তৈরি করলেন পাশেই। শাক্ত
মতের পুজো তখন গৌরাঙ্গ মতে চলে গেছে, বলি টলি হয় না আর, মাংস খাওয়া
বন্ধ পুজোর সময়, রায়দের মন উশখুশ করতে লাগলো। বড় তরফের পুজোকে লোকে ডাকতে লাগলো
বড় বসু বাড়ীর পুজো, অন্যটি ছোট বসু বাড়ী। বড় তরফের শ্রীহরি বসুরা পাঁচ ভাই। তাঁর
আমলেই বসু বাড়ির সঙ্গে বিয়ের সুবাদে জমি জিরেত অনেক পেলেন কন্যাপণ হিসেবে রায়দের একজন।
সেই জমিতে নতুন বাড়ী বানালেন তাঁরা। শুরু করলেন নতুন করে শাক্ত মতে দুর্গাপুজো, আলাদা করে, তাতে ঘটা
করে পুজোর তিন দিন ছাগবলি শুরু হল।
এইভাবেই, শুধু নোহারীতেই চালু হয়ে গেলো তিন তিনটে দুর্গাপুজো, যাদের একটার
থেকে আরেকটার দুরত্ব ৩০ মিটারের বেশী নয়। সবারই মন্দিরের সামনে আটচালা, তাতে সারাবছর
ধান ঝাড়ার কাজ হয়, আর পুজোর সময় লোকসমাগম, রাত্রে যাত্রাগান। জমজমাট হট্টগোল। আরো বেশী, কারন ধারে
কাছে আর কোনো পুজো হয়না, সবচেয়ে কাছেরটা যেটা, সেটা হয় বিষ্ণুপুরের রাজাদের বাড়ীতে, তা এখান
থেকে প্রায় বিশ ক্রোশ।
শ্রীহরির জ্যৈষ্ঠ পুত্র উপেন্দ্রনাথ, তাঁর কনিষ্ঠ
পুত্র নীলরতন, তাঁর একমাত্র পুত্র বিজিৎ, আর বিজিৎ এর একমাত্র সন্তান ঋভু। উপেন্দ্রনাথও
পাঁচ ভাই ছিলেন, আর তাঁর পরের জেনারেশন, অর্থাৎ আমাদের বাবাদের জেনারেশনে পুত্র সংখ্যা
চল্লিশ এর ওপরে। এই চল্লিশ এর পরের জেনারেশন আমি। শ্রীহরির পাঁচ ভাইদের পরিবারের সকলেই
এই পুজোর শরীক। তার থেকে বড় ব্যাপার হল, এঁরা প্রায় সব্বাই এই পুজোতে আসেন। তাই বুবাই
এর জেনারেশনেই প্রায় ৩৫০ জন এই পুজোয় আসছে এখন। এছাড়া বন্ধু আছে, বৈবাহিক
আত্মীয়রা আছেন, তাই পুজোতে বাড়ীর লোকই পাঁচশোর বেশি।
ছোট তরফের মস্ত পাকা অট্টালিকা হয়েছে তাও
প্রায় একশো বছর হতে চলল, দুর্গামন্দিরও পাকা হয়েছে অনেকদিন। বাবাদের ছোটবেলায় যেখানে
ময়ুর এর খাঁচা থাকতো, সেটা ওপেন বারান্দা হয়ে গেছে অনেকদিন, কিন্তু তার
রেলিং গুলো আছে এখনো কিছু কিছু,
কাঠের,
ভগ্নপ্রায়। মরাইটা হাওয়া হয়ে গেছে কোথায়, সেখানে এখন
একটা বাথরুম। বাড়ীর পেছন দিকে যেখানে আমার ছোটবেলাতেও ২৫-৩০ টা গরু বাছুর মোষ থাকতো, সেখানে এখন
আমরা গাড়ী রাখি। রায়দের আটচালার পরে প্রথমে বড়, পরে ছোটদের আটচালাতেও টিন লেগেছে। জেনারেটার
এর পেছন পেছন আশির দশকে চলে এসেছে বিদ্যুতের লাইন। যে স্কুলবাড়ী আমার মেজ জেঠুরা নিজের
হাতে মাটি বয়ে তৈরি করেছিলেন,
আজ সেই স্কুল তিন তলা, পাকা। গ্রামে রানার নেই আর, পোস্টাপিসের
পাশে গড়ে উঠেছে হাসপাতাল। প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম সড়ক যোজনার কল্যাণে এখন নোহারী অবধি
পাকা রাস্তা। কিন্তু হয়ত বা জঙ্গল,
দারিদ্র,
ভালো রাস্তার অভাব এবং সবথেকে বেশী – উদ্যোগের
অভাব – এই সব মিলিয়েই এই তিনটে পুজো ছাড়া নোহারীর আশেপাশে এখনো কুড়ি
পঁচিশ কিলোমিটারের মধ্যে আর কোন দুর্গা পুজো হয়না এখনো।
আমার বড়জেঠুও জমিদারির খাজনা জমা করতে যেতেন
অল্পবয়সে। এখন সে জমির খোঁজ কেউ রাখেনা আমাদের জেনারেশনে। কিন্তু পুজোটা আছে। ক্ষত্রিয়
মেজাজটা এখনো মাঝে মাঝেই চাড়া দেয়,
তখন ঠান্ডা করতে আমাদের বণিতারা প্রথমে মাতৃভাব ও পরে কাজ না
হলে সামান্য উগ্রক্ষত্রিয় ভাব প্রকাশ করেন, আর ওমনি আমরা গলে জল হয়ে যাই। আগে দেখতাম
বাড়িতে ঢুকতেই মস্ত বড় একটা কাঠের সিন্দুক। তার ওপরে উঠে মাঝের ছোট খোপটা খুলে দেখতাম
ভেতরে তিন খানা মর্চে ধরা তরোয়াল,
তাতে হাত দেওয়া বারন ছিল। সিন্দুকটা অনেকদিন হল উইয়ের পেটে, সেটার জায়গায়
এখন দেওয়াল তুলে একখানা ঘর হয়েছে,
তাতে ভঁদুজেঠু থাকে পুজোর সময়। সেই তরোয়াল গুলো কোথায় আছে, তার হিসেব
রাখার মতন কার সময় আছে এখন? কিন্তু পুজোটা আছে, আর পুজোতে ঘট আনার পরে এখনো পুরন্দর খাঁ কে
মনে পড়ে, যখন দেখি একখানা তরোয়াল আয়নার ওপরে ধরে ঘটের মা কে মন্দিরে নিয়ে
যাওয়া হচ্ছে। তাই, এক গুরুর কথার মতো বলি, এখনো, পুজোর সময় এলেই, জাস্ট চলে
যাই ওখানে।
No comments:
Post a Comment