Tuesday, March 10, 2015

আমাদের মাদারল্যান্ড বেঙ্গল এর ফেস্টিভ্যালস



আমাদের মাদারল্যান্ড বেঙ্গল এর ফেস্টিভ্যালস

আমাখে একানে বেঙ্গলি ফেস্টিব্যাল নিয়ে লিক্তে বলা হয়েচে। বেঙ্গলি টা আমার মাদার টাং, কিন্তু মা তো, তাই বেসি ঘাঁটাই নি, এখনো একটু র আছে। ব্রাদার টাং টা অনেক স্টং, কিন্তু এখানে এসে আমার ব্রাদার টাং এ লিকলে জাস কেউ বুজবে না, সো ডোন্ট মাইন্ড। একটু স্পেল মিস্টেক থাকলে খমা করে দেবেন। ফেস্টিব্যাল নিয়ে লেখার আগে লেকখ পরিচিতি দিতে হয়। আমার অরজ্জিন্যাল নাম বাবা রেখেছিল দেবকীনন্দন। দেবকীনন্দন গুছাইত। কিন্তু আমাদের অফিসে ওসব চলে না। প্রথম কয়েকদিন মিস্টার গুছাইত, তারপর শুধু গুছাইত, তারপর একদিন ম্যাগী বলল “ক্যান আই কল ইউ গু?”, তখন দেখলাম বিপদ, তাই বললাম “ইউ বেটার কল মে ডেভ!” সো দিস পিস অফ লিটারচার ইস রাইট ফ্রম দ্য ডেস্ক অফ ডেভ।

ফেস্টিব্যাল মানে কি? ব্যাল মানে জানি না, কিন্তু ভ্যাল মানে ভ্যালু, মানে দাম। ফেস টি দেখিয়ে ভ্যালু বাড়ানোর উৎসবই আসলে ফেস্টিব্যাল। ফেস মানে শুধু ফেস না, বডি, ড্রেস, গন্ধ , ডু এন্ড ডোপ। আর সঙ্গে এঞ্জয়। আমার বেঙ্গলে অনেক পুজো হয়, অল ফ্যাব ফেস্টিভ্যালস। বাট উইন্টার ফেস্টিভ্যাল গুলো সবচে বেস্ট।  আমি ভয়েসে জব করি টেকনিক্যাল সিটে, অন্য সময়ে কুব চাপ কিন্তু ওই সময়ে আমাদের কলাররা হলিডে তে থাকে, ফোন করে না তেমন, তাই এঞ্জয়মেন্ট টা ওই ফেস্টিভ্যালে বেস্ট হয়। একটু ডোপ হয়, একটু লিকুইড হয়, নাইট আউটস হয়। সেটা দুজ্ঞা পুজোর সময়েও হয়, আর আই লাভ দ্য ক্রাউড – হেল্পস মে গেট ক্লোস টু দ্য বেবস উইদাউট মামু অ্যান্ড পাড়ার উজবুক দাদাস নোটিসিং ইট। বাট ওই সময়ে ক্র্যাক নিয়ে একটু চাপ থাকে মার্কেটে, মামুরা হেবি চেক করে। লিকুইডের দামটাও বেশী থাকে। প্লাস ইউ এস ব্রাদার রা ওই সময়ে কাজ করে, অনেক কল থাকে, তাই ফুল এঞ্জয় হয় না। কিন্তু উইন্টারে অল গুড, ড্রাই ইনফ্লো টাইম, তাই ওটাই সবচে বেস্ট।

আমাদের উইন্টারের ফার্স্ট বেঙ্গলি ফেস্টিভ্যাল হল থ্যাঙ্কস গিভিং আর বক্সিং ডে। আমরা এটা উদজাপন করি কারন ওই সময়ে সাহেব রা প্রথমে থ্যাঙ্কস দেয়, তারপর ঘুষি মারা প্র্যাকটিস করে, আর সব ডিঙ্কস করতে বিচে চলে যায়। ওদের বিচ গুলো কি সুন্দর মাইরি – ব্লু জল আর বেজ স্যান্ড, তার মাঝে বেজ স্কিন, আর একটু একটু কাপড় – তিন কোনা, আর বাকি সব ওপেন। আর সালা আমাদের পচা দেস – সেদিন এই মাসের মাইনে হাফ গলিয়ে নতুন লো কাট নামিয়েচিলাম, সেটা পরে পরে হেব্বি কেত মারছি আজাদিন্দ ঢাবা তে, একটা আধবুড়ো হাফ টাকলু কাকা টাইপের লোক কাকিমার দিকে তাকিয়ে কমেন্ট করলো – দেকেছো, কি জমানা, এই সব হল নেক্সট জেনারেশান, বসেচে যেই, হাফ পাউরুটি বেরিয়ে গেছে, গালফ্রেন্ড কে দেখাবে, তোমাকেও দেখিয়ে দিল ফোকটে। আমি একটু পরে বুঝলাম, দ্য আসোল ইস পয়েন্টিং টু মাই নাইস এন্ড এন্ডুরেবেল বাম টপ্স পিকিং ফ্রম মাই জি স্ট্রিংস। সালা, বউ দেকায় না, আমার টা দেখছে। কাকা, লাইফ কাকে বলে জানো? হাফ লাইফ তো কাটিয়ে দিলে হেমন্ত না বসন্ত কার একটা গান সুনে, একটা টেক্সট করতে হাতড়ে বেড়াও সস্তার অ্যান্ড্রয়েড, সন্ধেয় চা ছাড়া কিছু খাও না, মাঝে সাঝে একদিন করে বৌ এর পারমিশান নিয়ে একটু ডিঙ্কস, তুমি সানু লাইফ কি বুঝবে? সালা, লাইফ জানো না, এঞ্জয় জানো না, সুদু জানো কাঠি আর খুজলি। তুমি সালা ঘসে মরো, বুকের ওপরে বেল্ট দিয়ে বাঁধা টেরিকটের প্যান্ট পরে বউ এর সঙ্গে বসে তড়কা রুটি হাবড়াও আর আমার রিসেন্ট মেট জিনার রুমাল পড়ে গেলেই লেফট আই দিয়ে কান্নিক মারো – আমার তাতে কিচু নেই, আমি একখন এসে লিকছি অন ফেস্টিব্যাল, সো ওসবেও এখন নো রাগ।  কিন্তু থ্যাঙ্কস গিভিং নিয়ে বেসি কিছু লেখার নেই, জাস্ট জানি ওরা থাকে না তাই আমাদের ফেস্টিব্যাল, বক্সিং ডে নিয়েও নেই, ওই জাস্ট জানি ওটা মহম্মদ আলি আর টাইসনের জন্মদিন উপলক্ষে পালন করা হয়, তাই আমি স্ট্রেট নেক্সট ফেস্টিভ্যালে এ চলে যাচ্ছি।

আমাদের নেক্সট ফেস্টিব্যাল হল কিসমাস টু নিউ ইয়ার। মাস মানে সব্বাই। তাই ওই দিন আমাদের কিসিং করতে হয়। যাকে পারা যায়, তাকেই। দুপুরে কানে ইয়ারফোন গুঁজে অফিসে চলে যাও, কিন্তু অফিসে হয় না, সন্ধের পরে উলটো দিকে রাজুর ঝুপড়ি টা ওর জন্য বেস্ট যায়গা। দোকান গুটিয়ে রাজু সেক্টার ফাইভ থেকে মহিসবাথানের দিকে অনেকক্ষণ রওনা হয়ে গেছে, ওয়ান বাই ওয়ান ঢুকে পড় খালি চালার তলায়, বাইরে বাকীরা পাহারা দেবে যাতে মামু এলে ধরা না পড়ি, ভেতরে ঢুকেই বিস্লেরির বোতলের মিক্সচারে একটু চুমুক, তারপর মন ভালো লাগলে রিঙ্গা রিঙ্গা রোজ এর মতো দু হাত মামনির দুপাশে সারকেল মেরে একটা হামি, একটু আধটু হাত ও নাড়ানো যেতে পারে, যাস্ট টু অ্যাড দ্য ইমোশানাল অ্যাটাচমেন্ট কোসেন্ট, অ্যান্ড দেন কাম আউট টু গিভ অ্যা চান্স ট ইউর কোলীগ, টেক টার্নস। এভ্রি বডি। তাই কিস দ্য মাস, কিসমাস। ওই দিন বিকেল ছটা অব্দি প্রেপ টাইম, তারপর একটু ওই এঞ্জয় আর ঘষাঘষি, আর তার পর কি হয় সেটা মনে থাকে না কিছুতেই, কিন্তু খুব এঞ্জয় হয়, সেটা বুঝতে পারি, কারন পকেট পুরো পসচিম্বঙ্গ হয়ে যায় পরের দিন, আর খর্চা মানেই এঞ্জয়, এঞ্জয় মানেই খর্চা, সো কিস্মাস মানে এঞ্জয়, এঞ্জয় মানে ফেস্টিব্যাল। ওই একটা দিন আছে, যেদিন বউদিস আর ভেরি লিবারেটিভ, আর বাবাও বেস কুল পাঁচ দশ নামিয়ে দেয় এক রিকোয়েস্টে, তাই খর্চা ইস ইজি, এঞ্জয় ইজিয়ার। বউদি পেলে ভালো, না পেলে বেবস আছে, ওরা এম্নিতেই লিবারেটিভ, ওই দিন হোল নাইট নাচবে বলে সব লাইট ড্রেসে থাকে, তা সে যতই শীত না হোক, সো ওই দিন হোলো বেঙ্গল লিবেরাশান ডে। বেব আর সিস এক হয়ে যায়, ড্রাই আর ওয়েট – দুটোই একসাথে খেলেও চাপ নেই – কোনো মাকন্দ নেই মার্কেটে যে আধ ঘন্টা পরেই ফোন লাগিয়ে বলবে – আই হ্যাভ অ্যা হোয়ার্লপুল রেফ্রিজারেটার ব্রট ফ্রম ওয়ালমার্ট ল্যাস্ট থ্যাঙ্কস গিভিং, অ্যান্ড দ্য ফাকিং থিং ইস রিফফ্যুসিং টু স্টার্ট দিস এ এম। হোয়েন আই লুকড আউট ফর হেল্প, দিস ব্লাডি কল গট ডাইভারটেড ট্যু ঈন্ডিয়া অ্যান্ড ইয়ু আর দ্য শিট্টি জ্যাকঅ্যাস হু আই হ্যাভ ল্যান্ডেড আপ উইথ হ্যাঃ হ্যাঃ হ্যাঃ। নাউ ক্যান ইউ ফাকিং টেল মি ইফ ইউ আর দেয়ার টু গেট মি অ্যা ফিক্স টু দিস কুইক্লি অর আই ফাকিং এস্ক্যালেট দিস টু ইয়োর সাকার লেভেল টু? আমাকে মাথা ঠান্ডা রেখে অ্যাপোলজি দিতে হবে, তারপর জিজ্ঞেস করতে হবে হ্যাভ ইউ সুইচড অন দা মেইন পাওয়ার সার? সার মোস্টলি তাতেই সলুশান পেয়ে যাবেন, খুব অবাক হবেন যে এই সাধুবাবা, গাঁজা আর সতীদাহর দেশে এখন কিছু লোক এমন অসামান্য ফিক্স দিতে পারে, এক চান্সে বলে দিলো আমি সুইচটাই অন করিনি, আর আবেগে এন্ড দারু তে গদগদ হয়ে ফোন রাখার সময়ে বলবেন “থ্যাঙ্কস ব্রো, সি ইয়া!” নাউ ইউ গেট, আমার ব্রাদার টাং কি? এই জব করেই আমি অনেক ভালো ইংলিস সিখেছি, মাঝে মাঝে একদম কুল ফাকিং আসোল বলতে আটকায় না বসের সাম্নেও, বললেও উনি মাইন্ড করে না, ইভন এখানেই ডেভিডের থেকে ঝেড়ে সি ভি তে লিখেছিলাম Expiriens:  Kwality analysists (I used to listen the call and geev fidback to koligs)। মডার্ন বানান আর ল্যাঙ্গুয়েজ একেই বলে কিনা বলুন! কিন্তু কি বলবো মাইরি, সেটা দেখে আমার মাথা মোটা বিসসো ভাট কাকাটা বলল বানান ভুল হয়েচে, সেন্টেন্স ফ্রেমিং এও গন্ডগোল। শালা, এটা কি দেয়ালে টাঙ্গানোর ছবি নাকি যে ফ্রেমিং করবো? সালা, বাড়ীর লোকগুলো একটুও মডার্ন না, সব ডেটেড। তাই ওই বেঙ্গল লিবারেবেল ডে তে একটু এঞ্জয় করি, এই সব দুকখো ভুলে থাকতে। আর সাত দিনের মধ্যেই তো পেমেন্ট ডে, পকেট আবার পসচিম্বঙ্গ থেকে পাল্টে মদন দার সেল, তাই চাপ কম।

জানুয়ারীতে আরো দুটো ফেস্টিব্যাল আছে, একটা নেতাজী সুভাস চক্রবর্তীর বার্থডে, আরেকটা রিবা ব্লিক ডে, ওই দুটো তে মজা নেই। কিন্তু ফেব্রুয়ারী পড়তেই একটা দারুন ফেস্টিব্যাল – তার নাম বেঙ্গলি ভ্যালেন্টাইস ডে। ওই দিন অনেক প্যান্ডেল হয়, ফ্রি তে কুল আর শাঁকালু খেয়ে তারপর দুপুরে খিদে পেলে একটা ইয়েলো কালারের ভেজ, সম্ভবতঃ স্প্যানিস, প্রেপ অফার করে অনেকে – সেটাও ফ্রি, উইথ বেগুনিস অ্যান্ড থিন ফিঙ্গার চিপ্স। বাট দ্য বেস্ট থিং হল ওই দিন সব বেবস শারি পড়ে অ্যান্ড শারি ইস ভেরি লিবারেটিব। পল্লু বলে একটা জিনিস থাকে শারির মধ্যে, সেটা খুব ফ্রি ফ্লোয়িং, কাঁধের ওপরে থাকে কিন্তু কাঁধ থেকে খসে যাওয়া টা একদম ন্যাচুর‍্যাল, তারপর কয়েক সেকেন্ডের গ্লিম্পস, অ্যান্ড দেন ওয়াপস কভার। এখন এমন এক্সপি হয়ে গেছে, ওই কয়েক সেকেন্ডেই এক চান্সে বলে দিতে পারি বেলে না লিবারটি নাকি এনামোর। আর যদি কন্সারভেটিভ হয়, তাহলেও তো মাঝের বারো ইঞ্চি ছাড়াই আছে, একটু নড়া চড়া করলেই হাওয়া আর চোখ, দুইই খেলবে। অফিসে অবশ্য অনেকেই ওর থেকে অনেক বেসি স্কিন দেখায়, কিন্তু এই লুকিয়ে দেখার এঞ্জয় টা একদম আলাদা। সারা দিন এঞ্জয়, তারপর নাইটে কলস এর গ্যাপে একটু ভিডিও চ্যাট। আর ওই দিন একটা লেডি ঠাকুরের পুজো হয়, সেই ঠাকুর টাও মাইরি খুব হেপ, কি ফিগার মাইরি! সরোসসোতি ঠাকুর, সুনেছি এখনো বিয়ে সাদি করেনি, ফুল ভারজিন। বাই দ্য ওয়ে, আগেই বলেছি আমার বেঙ্গলি টা স্ট্রং না, তাই ওই ক্লাস ফোরের বাচ্চা দের মতো সরোসসোতির বানান জানতে চাইবেন না। বরং জানতেন না, সুনে নিন, আরেকটা সরোসসোতি পুজো ফেব্রুয়ারীতেই হয়, ওটা খাঁটি বিদেসি, ওদেসে ওটাই আসল ভ্যালেন্টাইন্স ডে। ওই দিন আরচিসের কার্ড কিনতে হয়, আর আবেগ খুব চেপে গেলে পাবলিক এর সাম্নেও একটু আধটু স্কিন কন্ট্যাক করা যায়, অন্য কোথাও না হোক, সাউথ সিটি, শিটি সেন্টার আর অন্য মল গুলো তে।

সিত ফুরিয়ে আসছে, দিনের বেলায় ডবল ডিও মেরেও ঘামের স্মেল যাচ্ছে না, কিন্তু রাতে একটু ঠান্ডা এখনো, এই সময়ে আমাদের লাস্ট আর বেস্ট বেঙ্গলি উইন্টার ফেস্টিব্যাল হলো হোলি। ভোর থেকে ঠেকে দাঁড়িয়ে পড়, এক সাইডে রঙের বালতি আর অন্য সাইডে ভাঙ্গের হাঁড়ি। সঙ্গে সুকনো আছে, আবার বোতল ও আছে। খোঁজ করলে ডোপ ও আছে। আবির আছে, যখন ফার্স্ট আওয়ার, তার জন্য। ওয়াটার পেন্ট আছে, দূর থেকে টার্গেট আচিভ করার জন্য, একটু বেলার দিকে, দশটার পর। আর মেটাল তো আছেই। ওটা অনেক কাজে লাগে, ইঙ্কলুডিং হাতের সুখ। ফার্স্ট কাজ, অল গাইস পুট ইট অন দেয়ার ফেস, যাতে আইডেন্টিটি নিয়ে কোনো চাপ না থাকে। কেউ কাউকে চিনতে পারবে না, সবাই হনুমানের ভায়রা। সকালে পাড়ার নেতারা গেলে একটু আবির ছড়িয়ে দাও, ব্যস, সেন্সর পাস, তারপর তো ওপেন টু অল। বেবস অ্যান্ড ভাবি – সবাইকে কালিয়ে দাও। না স্যার, ভুল লিখিনি! রাঙ্গিয়ে দেওয়া টেওয়া রবিদাদুর সময়ে হতো, এখন মেটাল ব্ল্যাকে কালিয়ে দেওয়াটাই রীতি। চেনা শোনা লেডিসরা সবাই লিবারেটিব, প্রথমে একটু ছেনালি করবে, তারপর ফুল সারেন্ডার। একটু তাড়া কর, সারেন্ডার করলেই চেপে ধরো, তারপর ঘপাঘপ এদিক ওদিক দিয়ে একদম ডিপে ইন্সারট মেরে দাও, যাতে নেক্সট এক সপ্তা নায়িকা গলা বন্ধ না পরলে তোমার পাঞ্জার সারটিফিকেট দেখা যাবে। হাতের সুখ, মনেরও সুখ। অচেনা আর কনসারভেটিভ লেডিসদের জন্য প্রথমে ওয়াটার পেন্ট, তারপর যখন ভিজে গিয়ে আউটলাইন দেখা যাবে, তখন তার কান্নার ফাঁকে সুড়ুৎ করে হাতের কাজ করে দাও। লাস্টে ফী দিতে হচ্ছে না বলে একটু পকেটের টাকায় কেনা বোঁদে খাইয়ে দাও জোর করে, ব্যস, টাইম ফর নেক্সট টার্গেট। সন্ধ্যেয় কি হবে তুমি জানবে না ডোপের ঘোরে, রাতে তুমি খাবে না কারন তুমি তখন স্বপ্ন দেখছো নাক ডেকে, পরের দিন সকালেও ঘুম থেকে উঠবে দেরিতে, কারন ওই দিন নাইট আছে তোমার, সকালে বাপ বাজার করে আনবে, মা রাঁধবে, বোন জলখাবার দেবে। তুমি আয়েস করবে। এই না হলে ফেস্টিব্যাল?

উপসনহারে লিখি, ফেস্টব্যালের অনেক ভালো দিক আছে, কিন্তু সবসময়ে ফেস্টিব্যাল থেকে সব কিছু ভালো হয় না। মাঝে মাঝে হ্যাং ওভার হয় পরের দিন। অনেক সময়ে মাইনে কাটা যায়। অনেক সময়ে এঞ্জয়ের থেকে বেশী পয়সা খসে যায়। এমনকি এবারে কি হল, হোলির পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বোন এক কোনায় বসে কাঁদছে। জানতে চাইলাম কি হল, কিছুই বলে না, সুধুই কাঁদে। একটু মাথায় হাত বোলালাম, তাতে কান্না একটু বেড়ে তারপর কমলো। কিন্তু যখন ডিটেল চাইলাম, কিছুতেই ঝেড়ে কাশলো না। ফাইনালি একটু চাপ দিয়ে বুঝলাম কালকে হোলির নামে কেউ এঞ্জয় করে গেছে। কেলিয়ে বিন্দাবন দেখিয়ে দেওয়া যেতো যদি জানতে পারতাম কে করেছে, সত্যি মাইরি, স্ব্যের অন গড, আই উড লাভ তো স্ন্যাচ দ্য বলস অফ দ্যাট সাকার ইফ আই জাস্ট নিউ হু ইট ওয়াস – কিন্তু সালা কি বলবো, লজ্জার কথা, ওই যে, মেটাল পেন্ট, চিন্তেই পারেনি, আইডেন্ডিটি ক্রাইসিস। সালা, হেব্বি আপসোস হচ্ছে। দিস ফাকিং বাগারস অফ বাঙ্গালীর জাত মাইরি আইডেন্টিটি টাই হাওয়া করে দিয়েছে! তাই বাধ্য হয়ে বললাম, যা হয়েছে, ভুলে যা, এবার থেকে হোলিতে বাইরে বেরোলে ঠ্যাং ভেঙ্গে দেবো তোর। বোন বলল “আর কি পারবি তুই?” – বলে চলে গেলো সামনে থেকে। মস্তি টাই একদম অফ হয়ে জাচ্ছিল, তাই মনটা অন্য দিকে নিয়ে যাবার জন্য কি করবো ভাবতে ভাবতে একটু ফোনের নেট টা চালু করে সানি লিওন নিয়ে সার্চ দিলাম।  

রেসাল্ট গুলো স্ক্রিনে আসতেই লজ্জা টা কেটে গেলো – শালা, এদের লজ্জা নেই, আমার কেন থাকবে? আমাদের তো আইডেন্টিটি টাই নেই আর, লজ্জা পেয়ে তবে কি হবে? ফোন টা নিয়ে বাথরুমে ঢুকে গেলাম।