Friday, April 10, 2015

বসন্ত গেলো ব’লে

বসন্ত গেলো ব’লে

নিউ টাউনের ন্যাড়া রাস্তার ধারে পচা রোদের খপ্পর থেকে বাঁচবার জন্য দোকানের ভেতরে দাঁড়িয়ে চোখ কুঁচকে সচীনদার আদা-লিকার দিয়ে সিগারেট খাচ্ছি আর ভাবছি আজকেও একটু বৃষ্টি হলে বেড়ে হতো, সামনে দিয়ে একটা অটো চলে গেলো, একদম স্লো মোশানে। একটু দুরেই প্রভূত পরিমানে ব দিয়ে লেখা হোর্ডিং দিয়ে সাজানো ব্বিশ্ব ব্বাংলা সরনী, সেখান দিয়ে সাঁই সাঁই করে এয়ারপোর্ট চলে যাচ্ছে অসংখ্য গাড়ী, এমন মডার্ন যায়গায় স্লো মোশানে অটো? এটা খুবই অবাক ব্যাপার না? ভাঁড়ের যেমন হ্যান্ডেল হয় না, মাদুলির ব্র্যান্ড হয় না, পাঁচালীর অথার হয় না, চিনে জিনিসের গ্যারেন্টি হয়না কিম্বা জেমস বন্ডের বউ হয়না, ঠিক তেমনই অটোরও স্লো মোশান হয়না। অটোকে আস্তে চালালে বাবা বিশশোকম্মার অসম্মান হয়, পৌরুষে টান পড়ে, রাস্তার সমস্ত মারুতি, পাইভেট, ট্যাস্কি আর সমু গাড়িকে অযাচিত সন্মান দেওয়া হয় আর হোল ডে তেও মাইনে করা যায় না, তা সে যতই বাজার ভালো হোক। তাই অটো জোরেই চলে। এমনকি অটোর জোরে চলা এখন একটা মানদন্ড – একবার এক সাহসী অ্যাম্বাস্যাডার চালক আমাদের অটোকে ওভারটেক করে ফেলেছিলেন বলে আমাদের অটোচালক দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলেছিলেন “এ ডাইভার সিওর আগে অটো চালাতো” – এমনই সুনাম অটোর স্পিডের।

কিন্তু সেই গর্ব, সেই সুনামে চুনকালি মাখিয়ে এই অটো সত্যিই আস্তে চলছে। এতোটাই, যে বাঁ দিকের উনুনের উপরে ঝুঁকে থাকা সচীনদার সিড়িঙ্গে বউ আর ডান দিকে আদিরসের আধা স্বাদের লোভে দোকান “করতে” আসা সচীনদার সবে ম্যাট্টীক  পাস করা মেয়ে, এদের দুয়ের মাঝ দিয়ে ঝাড়া এক মিনিট দেখা গেলো অটোটাকে। তিন দিকে কেরোসিন কাঠের সরু ফ্রেম এর ওপরে লাগানো ফ্লেক্স, মাথায় মাইক। ফ্লেক্স গুলোতে খুব বড় করে ৮০% আর খুব ছোট করে “আপ টু” লেখা আছে, আর তার পাশে জামা, জুতো, ব্রা, জাঙ্গিয়া, নাইটি, প্রেশার কুকার, ইন্ডাকশন ওভেন, মোবাইল ফোন, গাড়ী ইত্যাদির মাঝে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন হাত কাটা ব্লাউস পরা লাস্যময়ি স্বাস্থ্যবতী মামনি, যেন ও দোকানে গিয়ে কিছু কিনলেই উনি আপনার গাল বা অন্য কিছু আলতো করে টিপে দিয়ে বলবেন “দুষ্টু!”, আর আপনার এক সপ্তাহের স্বপ্নের রসদ চলে আসবে তাতে।

অটোতে দুজন মানুষ। একজন ফুল প্যান্ট আর ডোরাকাটা বগল বের করা গেঞ্জি পরে চালকের আসনে, মাথায় একটা গামছা বাঁধা। পেছনে আরেকজন, ইনি হাফ হাতা টিশার্ট পরিহিত, নিম্নাঙ্গে জিন্স, পায়ে কিটোস, হাতে মাইক। সমানে বলে চলেছেন – “আর মাত্র পাঁজ দিন, একসিস মলে চলে আসুন চোইত্তো সেল এর মজা নিতে। সম্পুরনো এ সি মলের দ্বিতলে বাদশার সোরুমে। একানে আম্নি পাচ্চেন আপ্টু এইট্টি পারসেন ছারে, এই ডান্দিগ চেপে চালা না বাঁ, লেপ্টে সিকুটি হাত নারছে দেকছিস না নাকি বাঁ, ফালতু মা মাসি করবে, হ্যাঁ, আপ্টু এইট্টি পারসেন ছারে দামী ব্যান্ডের ব্রা, প্যান্টি, গেঞ্জি, জাঙ্গিয়া, নাইটি আর সমস্ত টাইপের ভেতোরের যামা। সনগে লাকি ড্র তে আম্নি পাচ্চেন একটি মারুতি গাড়ী, দশটি মোবাইল ও আরো অন্যান্য উপহার। আসুন আসুন আসুন!” বসন্ত গেলো বলে তাহলে? একলা বৈশাখের আর মাত্র পাঁজ দিন?
বাঙ্গালীর ভুল যায়গায় ঠিক জিনিস দেওয়াটা একটা বহু পুরোনো রোগ। এখানেও তার খামতি নেই। যে পাড়ায় এই প্রচার, সেখানে সচীনদা তার পরিবার নিয়ে থাকে বটে, ভোম্বলের মা বাবাও থাকে, কিন্তু তারা কি অ্যাক্সিস মলে যাবে? সচীনদার মেয়ের যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু সচীনদার স্টেটমেন্টের বোঝায় সে ইচ্ছে চাপা পড়ে গেছে – za বাপ সায়ের দোকান দেয়, তার মেয়েরে ওসব zaয়গায় zeতি নাই। ওদের পাড়ায় ইস্তেহার সাঁটা আছে মা তারা সুই-টস্ এর পাশের দেয়ালে - মল ও মুত্র যেখানে সেখানে ত্যাগ করবেন না, এতে পরিবেশ নষ্ট হয়, নিচে হিন্দিতে লেখা জাঁহা শোচ, ওয়াঁহা সৌচাল্যায়, পাশে বিদ্যা বালান। এটা তো সহজ কথা – যেখানে সেখানে হাগলে মুতলে তো ওই যে বিদ্দা পরীর বেশে দাঁড়িয়ে আছে গ্যাল্মার নিয়ে, সে গন্দে টিক্তে না পেরে চলে যাবে, সে তো ঠিকই। তাই মলের সঙ্গে মলামেশাটা কেমনতরো, সে ওদের ভালই জানা আছে। কিন্তু সৌচালয়ে শোচ, ওই লাইনটা ভালো বোঝা যায় না, কারন সে ব্যারাম ওদের নেই, তাই। সে ব্যারাম আছে আপাতঃ উৎকৃষ্ট বাঙ্গালির – যাঁরা চেয়ারপ্রতীম কমোডে বসে চাপ দেন, তাঁদের, যদিও সেলফোনের উৎপাতে বাঙ্গালীর সৌচালয় শোচ আজ বিলুপ্তির পথে।

তাঁরা এপাড়ায় থাকেনও না। কিন্তু রোজ আসেন। কেউ গাড়ীতে ড্রাইভারের পেছনে কিম্বা পাশে বসে, কেউ নিজে চালিয়ে, কেউ বাইকে, কেউ বা অফিস বাসে, এমন কি কয়েক জন অটোতেও আসেন। এদের মধ্যে পুরুষেরা সকলেই প্যান্ট ও শার্ট পরেন, বেশীর ভাগই ব্র্যান্ডেড, পায়ে চামড়ার জুতো থাকে, আর শুক্রবারে জিন্স-টি-শার্ট এর সঙ্গে সাদা জুতো। মহিলারা কি কি পরেন সে বলা খুব লম্বা বলা হবে, কারন মহিলাদের যদিও সোমবার হয় শিবের পুজো করলে, মঙ্গলবার হয় মা সন্তোষীর ভক্ত হলে, এমনকি বেস্পতিবারও হয় মা লক্ষ্মীর কৃপা চাইলে, শুক্রবারটা ওঁদের মোটেই আলাদা নয়, তাই পোষাক পরিধানের নিরিখে ওঁদের সদাই শুক্রবার। এই কারনেই ওঁরা যা যা পান, তাই তাই পরেন, রোজ। এতে ঈর্ষা করার কিছু নেই, কারন শুক্রবারটা একটা বেশ ফ্রি ফ্রি দিন, তাই সেদিন অনেকে যে অনেক কিছু পরেনও না, একদম খোলামেলা থাকেন, সেও লক্ষ্য করলেই টের পাওয়া যায়। পুরুষদের কাছে এই ডিস্ক্রিমিনেশান যেমন কষ্টের, তেমনি সহজে দেখার আনন্দটাও যে অপরিসীম, তা বলাই বাহুল্য, তাই প্রতিবাদ টা করবো করবো করেও আর করা হয়ে ওঠে না। তা এই যে দু দল সেক্সুয়্যালি চরম ডিস্ক্রিমিনেটেড মানবদল, এঁদের মধ্যেও কিন্তু সমতা এনে দেওয়ার জন্য আমেরিকান কোম্পানী আবিষ্কার করেছে এক ইউনিভার্সাল লেভেলার। এনাদের সবাইকে, পুরুষ নারী সকলকে, গলায় ঝোলাতে হয় একখানা লকেট, নাহলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। সে লকেটের নাম ব্যাজ, নীল-লাল-সাদা দড়ি দিয়ে ঝোলাতে হয়, যে যেমন রঙের পায় আরকি, সামনে ছবি আর নাম, পেছনে ম্যাগ্নেটিক স্ট্রিপ, যার ছোঁয়া দিয়ে দরজার কঠোর মনেও একটু চিড় ধরানো যায় প্রতিবার, সে লকেট দেখতে না পেলেই আধা ইংরেজি জানা সিকিওরিটি চেঁচিয়ে বলবে – প্রিজ ডিস্প্লে ইওর ব্যাজ স্যার! এখানে হিসি পেলে বাথ্রূমে যাবো বলাটা অসভ্যতা, বলতে হয় ওয়াশরুম, যদিও ওখানে গিয়ে সবাই যে ওয়াশ করেই বেরোন,  বিশেষতঃ ছোট কাজের পরে, এমন কোনো প্রমান নেই। এখানে ওপরে ওঠার জন্য লিফট নেই, আছে এলিভেটার। এখানে প্রত্যেকে অন্ততঃ চার বার করে বাইরে বেরোন প্রতিদিন, হাসিমুখে - কেউ ধুমপান করতে, কেউ চা খেতে, কেউ বা বন্ধুকে সঙ্গ দেবার জন্যেই শুধু, কিন্তু ফায়ার ড্রিলে বেরোতে হলেই মুখ ব্যাজার করতে হয়, কারন ওটাই নিয়ম। এখানে সমস্যা কে কেউ প্রব্লেম বলবে না, সবার কাছেই সমস্যা মানে চ্যালেঞ্জ। এখানে কল দিয়ে জল পড়ে না, শুধুই শব্দ হয়। তাই এখানে ইজের বা পিরান কি, সেটা তো কেউই জানেন না, এমনকি জনসমক্ষে ব্রা বা প্যান্টি বলাটাও অসভ্যতা। এখানে পেটির একটুও ঢাকতে অপারগ গেঁয়ো শায়ার নতুন নাম পেটি-কোট। এখানে সালোয়ার-কামিজের নতুন নাম স্যুট। এঁদের কাছে অন্তরবাস কে লঁজারি বলতে তেমন শোনা যায়না যদিও, লিঙ্গারি বললে এঁরা সবাই বুঝবেন, নিদেন পক্ষে আন্ডারওয়্যার। এনারা কেউ যাবেন কি? ওই বাদশা তে?
একটা সময় ছিলো, যখন বছরের এই সময়টায় একটা হাফ প্যান্ট আর একটা হাফ শার্ট (ফুল হলে চলবে না) একদম বাঁধা পাওনা ছিল। মায়ের ও একটা শাড়ি পাওনা হতো, কিন্তু মা সেটাকে তুলে রেখে দিতো, জষ্ঠি মাসের প্রথম মঙ্গলবারে সেটার উদবোধন হতো, ওটা পরে মা বিড় বিড় করে বলতো “সোনার মঙ্গলচন্ডী রুপোর থালা, কেন মা মঙ্গলচণ্ডী হল এতো বেলা, হাসতে, খেলতে, সোনার দোলায় দুলতে,  নির্ধনেরে ধন দিতে, রাজার মুখে পান দিতে, অপুত্রকে পুত্র দিতে, অন্ধরে চক্ষু দিতে, আইবুড়োর বিয়ে দিতে, অন্তকালে স্বর্গ পেতে কোরোনা হেলা, ঠারি ঠুরি পায়রাগুলি, ঠাকুর চল্লেন কৈলাসপুরী, যে বলে তার স্বর্গবাস, যে শোনে তার কৈলাস”। পয়লা বৈশাখে নতুন জামা পরতাম বটে, কিন্তু আর কিছু করতাম বলে মনে পড়ে না। বরং ওই জয়মঙ্গলবারে মা জেঠিমা প্রথমে ফল, তারপর বেগুনী আর বাদাম ভাজা দিয়ে মুড়ি খেতো, ওটা বেশি উত্তেজক ছিল। ছোট শহরের ছোট বাজারে সারা বছরই দরদামের চাপে একটু ডিস্কাউন্ট দিতেই হয় মুখচেনা খদ্দের কে, তাই চৈত্র সেল বলে বস্তুটির সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় কলকাতায় এসেই। হাতিবাগানের রাস্তায় প্রচুর হকার “সেল সেল সেল সেল, ফিফটি পঞ্চাশ, ফিফটি পঞ্চাশ” করে এক তালে চেঁচিয়ে বিক্রি করছে পাঞ্জাবি। এরকম চলছিল অনেকদিন। হাতিবাগান। এস্প্ল্যানেড। গড়িয়াহাট। তারপর দেখলাম গড়িয়াতেও হচ্ছে। কিন্তু আর হল না। কোন ফাঁকে আস্তে আস্তে গজিয়ে উঠছিল প্যান্টালুন, ওয়েস্টসাইড। মেজোবিত্ত বাঙ্গালী সেখানে ঢুকতে তখনো ভয় পায়, কিন্তু একটু পয়সা থাকলেই সাহস করে ঢুকে পড়াও যায়। কিনবো কি না, সে পরের কথা, ওখানে ঢুকে দেখলে তো কেউ খেদিয়ে দায় না? আর সেই ভয় পুরো কেটে গেল, যখন বিয়ানি সায়েব বিয়োলেন বিগ বাজার। সারা বছরটাই চৈত্রমাস তার পর থেকে। বাঙ্গালী এখন তাই সারাবছরই চৈত্র সেলের “মজা নেয়”।

তা বলে কি পয়লা বৈশাখে নতুন জামা হবে না? নিশ্চয়ই হয়। জামা হয়, প্যান্ট হয়, জুতো হয়, শাড়ি হয়, সালোয়ার স্যুট ও হয়। বাদশার সেল এ কেনা হয় কি না জানি না, কিন্তু অন্তর্বাস ও যে কেনা হয়, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। এই ভাবেই বাঙ্গালী এখনো প্রস্তুত হয় নতুন বছর কে স্বাগত জানাতে। আর এই বাঙ্গালীর মধ্যে ব্যাঙ্গালুরু তীর্থ সেরে ফেরা আই টি সন্তানের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বাংলা নববর্ষের আগের দিন তাই ইমেইল আসে – “ইট ইস টাইম তো সেলিব্রেট এগেইন, সো টুমরো উই এক্সপেক্ট দ্য টিম টু কাম টু অফিস ড্রেসড ইন এথনিক ওয়্যার”।

বাঙ্গালীর এথনিক ওয়্যার ব্যাপারটা একটু ঝাড়ের জিনিস। ওপরের দিক টা পাঞ্জাবি, সেটা ঠিক আছে। জিন্স এর সঙ্গে যায় ও ভালো। মাথা গলিয়ে পরে নাও, ব্যাজের লকেট তার ওপরে ঝুলিয়ে নিলেই হল। কিন্তু নিচের দিকের রিয়েল এথনিক ওয়্যার আসলে ধুতি। এবং ওখানেই কেলো টা। ধুতির মধ্যে লুঙ্গির মতোই একটা ফ্রি এয়ার ফ্লো বন্দোবস্ত আছে, কিন্তু ধুতি মালকোঁচা মেরে পরা যায়না। প্লাস জুতোর ওপরে পরা যায়না, স্নিকার্স এর সঙ্গেও না। অতএব চটি কেনো, ইলাস্টিক দিয়ে ধুতি কোমরে আটকাও, তারপর সেক্সি লেগ যেন খুব বেশি এক্সপোসড না হয়, সেই নিয়ে ব্যাস্ত থাকো সদাই। অনেকে তাই হাফ এথনিক হয়ে পাজামা দিয়েই কাজ চালিয়ে নেয়। মেয়েদের শাড়ি নিয়ে আলাদা কিছু চাপ আছে বলে মনে হয় না, বরং যার একটু এক্সপোজার প্রয়োজন, সে আঁচল টা দরকার মতো টাইট বা লুস করে নিতে পারে। সকালে একটু ফুল টুল দিয়ে লবি টা সাজাও নিজেরাই। এদিন দুপুরে একসাথে লাঞ্চ। তবে কোম্পানী ভুরীভোজের বন্দোবস্ত করে না আজকাল আর, তাই বাঙ্গালী দুপুরে ওলন্দাজ হয়ে যায়। চাঁদা তুলে খাবার আসে, সাধারনতঃ বিরিয়ানি। কিছু ক্ষেত্রে চাইনিস বা পাস্তাও আসে - ওগুলোই এখন বাঙ্গালি খাবার, খেতে খেতে একবার বললেই হল – আই জাস্ট লাভ দ্য সুক্তো অ্যান্ড চিতোলস পেটি ফ্রম ভাজাহারি ম্যান্না। দুপুরে একটু কাজ, তারপরে এথনিক ড্রেস পরা আই টি বাঙ্গালী এই একদিন অফিস থেকে একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরে – বাচ্চাদের নিয়ে ব্যেওমকেশ বাক্সি দেখতে হবে না? তারপর একা একা কিম্বা দঙ্গলবেঁধে একটু দারুপান, শেষে আবার প্যাকেটের খাবার খেয়ে নববর্ষের রাতে শুতে যায় বাঙ্গালী।

অটো টা এগিয়ে গেলো। এখনো শুনতে পাচ্ছি – “আর মাত্র পাঁজ দিন আম্নি এই সুযোগ পাচ্চেন”। সচীনদার মেয়ে বাবার দোকানে ক্যাশ সামলাচ্ছে, বউ উনুনে কয়লা দিচ্ছে, সচীনদা ওপাশে ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি চায়ের ভাঁড়টা ফেলে আবার ভাবলাম, আর মাত্র পাঁচ দিন, তারপরেই অনুপমের বসন্ত চলে যাবে। 

No comments: